
স্টাফ রিপোর্টার,নাইক্ষ্যংছড়ি ::
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থানা ও রামু উপজেলা গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতার প্রতিরোধের পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতার আটকের খরব পাওয়া গেছে।
গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল ৫টা (৬ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা জামায়াতের আমীরসহ যুবদলের ৫ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নাইক্ষ্যংছড়ি থানা জামায়াতের আমীর রফিক আহাম্মদ, জামায়াত নেতা জাকের আহাম্মদ, উপজেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি উজ্জল দাশ, যুবদলের সদস্য শিবলী ও বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা এতেশামুল হক মানিক । সৃত্রে জানাযায়, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ী পুলিশ গত মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম এলাকার এক আত্মীয়ের ঘরে আত্মগোপন থাকা অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা জামায়াত আমীর রফিক আহম্মদকে আটক করা হয়। আর এদিকে গত (৫ ফেব্রুয়ারি) সোমবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলা জামায়াত নেতা জাকির আহম্মদকে এবং ছাত্রদলের সহ সভাপতি উজ্জল দাশ ও যুবদল নেতা শিবলীকে রাত ২টায় এবং বাইশারীতে অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ৩টায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা এতেশামুল হক মানিককে আটক করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ ।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মোঃ আলমগীর শেখ আটকের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সন্ত্রস ও নাশকতা প্রতিরোধ লক্ষে মূলত আমাদের এই অভিযান। এলাকায় অপ্রীতিকর কোন ধরনের ঘটনা যেন না হয় এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘন্ন না ঘটে সে লক্ষ্যে এই চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। ,
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ কাজী মোঃ আরিফ উদ্দীন জানান, উপজেলা জামায়াত আমীর রফিক আহম্মদ আত্মগোপনের থাকায় এবং গর্জনিয়া , কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের জামায়াত শিবির ক্যাডারদের সাথে গোপনে পরার্মশ বৈঠক করার খবর পাওয়াতে ওই নেতাকে আটক করা হয় বলে জানান। তবে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা প্রস্তুত করা হবে।
এই আটকের বিষয়ে জামায়াত বিএনপি নেতারা কোন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নারাজ।
পাঠকের মতামত